Mr Lal Photoshop Gallery's

.



Nandalal Barman's
True Love Image - 6
Nandalal Barman's
Nandalal Barman Blogspot
Nandalal Barman's
Smart Girl



Nandalal Barman's

Nandalal Barman
Indian Army's Balidan Badge

Namdalal Barman
Indian Army Balidan Badge








একটু জলিট বিষয় জানার আছে, কুসংস্কার নাকি সঠিক?

আমি যতদূর জানি, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবনে রাধা নামের কোন মহিলার অস্তিত্ব নেই। কিন্তু বিভিন্ন নামকরা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাধা কৃষ্ণকে দিয়েছে সর্বোচ্চ প্রমময় জুটি হিসেবে আখ্যা।

কথিত আছে রাধা হল কৃষ্ণের মামি সম্পর্ক।  একজন বিবাহিত মহিলার প্রেমে মজা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কতটা ভালো লক্ষণ? তার সাথে ছিল ছলনা, ছলনা করা মহা পাপ শাস্ত্র মতে। তার মানে শ্রী কৃষ্ণ মহাপাপী?

এরপরে আসে অস্টসখী। এদের নিয়ে রচিত আছে প্রচন্ড অশ্লিল কিছু রচনা। আচ্ছা একজন ভগবান নিশ্চই এত কুৎসিত মানুষিকতার হতে পারে না। 

যে ধর্মে একজন শ্রেষ্ট মহামানব নিয়ে এত অশ্লিল ঘটনাকে আমরা অনায়সে লীলা বলে চালিয়ে দেই, আবার সেই বিষয় গুলি ই ঘটা করে পালন করে থাকি, তবে সেটা কতটা রুচি সঙ্গতত??

এমন কুরুচি নিয়ে প্রতিটি দেবতার ই ঝামেলা আছে। শিব, ব্রহ্মা, মনসা, অথচ দেব দেবী হয় সত্যের প্রতীক। ঈশ্বরের অংশ। তাদের আবার সংসার ধর্ম ই বা কি কিংবা ছল চাতুরতাই বা কি। তারা তো সব কিছুর জান্তা। মানুষের মত আচারণ তাদের হবে কেন? আসলে এই মানুষ রুপে তাদের কল্পনা করাটাও আমাদের মানুষদের ই একটা বিকৃত সত্তা।

অথচ আমরা সেসব ই ভক্তি নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছি। তবে সত্যিটা কোথায় লুকিয়ে আছে, কেউ ভেবে দেখেছি কি?

এই যে শ্রীকৃষ্ণের সাথে নারী মুর্তি রাধা জড়ানো, এটা নির্দেশ করে শ্রীকৃষ্ণ কতটা নিচু মানুষিকতার ছিল। কিন্তু দেখা যায়, শ্রীকৃষ্ণের রাধা নামক কোন নারীর সাথে সখ্যতাই ছিল না। মামি সম্পর্ক তো দূরের কথা। 

মধ্যযুগের কিছু সাহিত্যিকদের ধর্ম নিয়ে বিকৃত উপস্থাপনাই ছিল রসবোধের এক অন্যান্য উদাহরণ। যেটা পরবর্তিতে হিন্দু সমাজ প্রাণভরে গ্রহণ করে। 
অথচ, এই বিকৃত ইতিহাস কেউ সংস্কার করার জন্য এগিয়ে আসছে না। এগুলো যাদের দায়িত্ব, তারাই বরং নিজেদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা চিন্তা করে রঙ ঢং করে ধর্ম ব্যবসার পসরা সাজিয়ে আছে। আমরাও শিক্ষিত হচ্ছি, তবে জ্ঞানের দিকে নয়, অজ্ঞতাকে সাথে নিয়ে। 

আমাদের চারিপাশে যেসব ধর্মিয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাদের আসলে কাজ কি? সত্যি বিষয়টা অনুসন্ধান করা, তা না করে তারাও লীলা করে যাচ্ছে, অবাক করার মত। এত লাভ জিহাদ, নাস্তিকতা, সব কিছুর জন্যই দায়ী এসব বিকৃত ইতিহাস। 

এখন গীতাকেও দেয়া হয়েছে নতুন রুপ। বেদের কথা তো মুছেই যাচ্ছে। বলা হচ্ছে কলি যুগের সাথে বেদ যায় না। তবে কি যায়? যেটা কখনো ছিলই না, বিকৃত ইতিহাস আর কু সংস্কার? বেদ তো ছিল চিরন্তন সত্য, ঈশ্বর প্রদত্ত বাণী। এখন ঈশ্বর প্রদত্ত বাণীকে বাদ দিয়ে মানুষের রচিত অশ্লিল কুসংস্কার ই শ্রেষ্ঠ? আমাদের ব্রেইন ওয়াশ ঠিক কত ভাবে হয়ে যাচ্ছে?? নাকি বেদ পড়া বেশ জ্ঞানগর্ভের বলে ওটা বাদ দিয়ে যেখানে খুব দ্রুতই খ্যাতি, টাকা আর মানুষকে ভাবে মজানো যায় সেখানে আমরা লাফ ঝাপ করে বেড়চ্ছি??

ইসলাম ধর্মের অনুশাসন বেশ কড়া। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, রোযা, দান তো আছেই। আমাদের ধর্মেও এমন অনুশাসন দেয়া আছে। অথচ আমরা কতটুকু জানি? আমাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আমাদের কতটা শিক্ষা দিচ্ছে?

আমাদের উচিৎ অসত্যকে বর্জন করে সত্যিকে প্রচার করা এবং পালন করা। অসত্য পালন করে কখনো ধর্ম হয় না অথবা পূণ্য ও লাভ করা যায় না, বরং সত্যি জেনে পালন করাতেই পূণ্য লাভ সম্ভব।



মন্তব্যসমূহ

Popular Blogs

প্রেম নিবেদন

বিন্দু (তোমাকে উদ্দেশ করে লেখা)

কৃষ্ণপক্ষ